বন্ধুদের বাগানবাড়ি গাজীপুরের পিরুজালিতে। চৌরাস্তা থেকে হোতাপাড়া বাজারের পথ ধরে ভেতরে ঢুকতে হয়। আবার চৌরাস্তার আগেই মাস্টারবাড়ি দিয়ে সোজা রাস্তা ধরে চলে আসা যায় এখানে। বাগানবাড়ির মালিকেরা সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পড়াশোনা করে এসেছে। নিজেরা একসঙ্গে মাঝে মাঝে অবসর কাটাবে বলে সুনসান পাঁচ ঘরের এক বাড়ি ওদের।
আমার সামনেই ছিল অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপনের তালিকা, আমি সেগুলো দ্রুতগতিতে ‘প্যারিস নরম্যান্ডি’ পত্রিকা থেকে লিখে নিচ্ছিলাম। এই তালিকা থেকে আমার কোনো নির্দিষ্ট চাওয়া-পাওয়া নেই...
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবিটা তোলা হয়েছিল সামনাসামনি, প্রোফাইল। তার চোখের দৃষ্টি মনে হচ্ছিল অনেক গভীর থেকে উঠে আসছে, ছোট চুলগুলো ছিল পেছন দিকে শক্ত করে বাঁধা, মোটা ঠোঁটটা আরও মোটা লাগছিল গাঢ় লিপস্টিকের কারণে। বাঁ হাতটা ছিল পশমের ওপর, ডান হাতে ছিল পাখা। এখন মনে পড়ছে না, রানিকে তখন সুশ্রী নাকি কুশ্রী
অনুবাদকের কথা: অন্য অনেকের মতোই আমিও নোবেলপ্রাপ্তির আগে আনি এরনোর নাম শুনিনি। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তিই তাঁর সম্পর্কে আগ্রহের জন্ম দিল। যেহেতু রুশ ভাষা জানি এবং রুশ দেশটি সাহিত্যকে দেয় উচ্চমূল্য, তাই তাদের সাইটগুলোয় গেলাম দেখতে, সেখানে কি আনি এরনো আছেন?
বেশ কিছুকাল আগের কথা। আমাদের ইতিহাস সম্পর্কে স্কুলের শিক্ষার্থীরা কতটা জানে, এ রকম একটি প্রশ্ন নিয়ে কেউ কেউ গিয়েছিল বিভিন্ন স্কুলে। পড়ুয়ারা চমকে দিয়েছিল তাদের স্বাধীন উত্তর দিয়ে। স্বাধীন দেশে বসবাস করে বলে ইতিহাস জ্ঞানেও তারা নিয়েছিল স্বাধীনতা
আবার আলোচনায় উঠে এসেছেন কক্সবাজারের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি। এবার তিনি টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের তিন নেতাকে পিটিয়েছেন। পেটানোর কারণ মতবিরোধ। ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাই বদি যদি বলার চেষ্টা করেন যে তিনি মারপিট করেননি, শুধু ফুলের টোকা দিয়েছেন, তাহলে কেউই তা বিশ্বাস করবে না। আবদুর রহমান
মৃত্যুর কিছুদিন আগে চাষী নজরুল ইসলামের ইচ্ছে হলো কিছু কথা বলে যাবেন। স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন। চিকিৎসকেরা জানালেন, এখন আর ওষুধে কাজ হবে না। যে কদিন বাঁচেন, এভাবেই বেঁচে থাকতে হবে।
২ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় কী পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনের সাহায্যার্থে সামরিক বাহিনী তলব করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্তের জন্য খ-অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ও
১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এ অবস্থায় কোনো কোনো অবিবেচক ব্যক্তি সামরিক আইন জারি করে বেসামরিক কর্মচারীদের একাংশকে দমিয়ে দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আজ ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ সামরিক আইনের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে নেতা হিসেবে এ রকম মহিরুহ হয়ে উঠলেন, তার সবচেয়ে বড় কারণ, ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখতেন। যখন যে বিষয়ে গভীরতায় প্রবেশ করা দরকার, তখন সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করতেন। অনেকের কথা শুনে স্থির হয়ে নিজে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেন। ফলে তাঁর সিদ্ধ
‘শেখ মুজিবের নির্দেশিত পঁচিশে মার্চের মধ্যে কোনো কিছু না করা হলে আমি শেখ মুজিবের সাথে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল গণ-আন্দোলন গড়ে তুলব।’ পল্টনের বিশাল জনসমাবেশে ৯ মার্চ ন্যাপ নেতা মওলানা ভাসানী এ কথা বললেন। ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে বলি, অনেক হয়েছে, আর নয়। লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন (তোমার ধর্ম তোমার,
একসময় বলা হতো, পশুর ডাকের অনুকরণ করতে করতেই মানুষ তার ভাষা রপ্ত করেছে। ‘বৌ-ঔ তত্ত্ব’ নামে তা বিজ্ঞানী মহলে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা বলেন, আগের কালে মানুষ কিছু আওয়াজ করতে শিখেছে পশুদের আদলে। নানা রকম আওয়াজ করে তারা পশুদের তাড়িয়ে দেওয়ার পথ খুঁজত। নানা রকম আওয়াজ করতে করতেই একসময় একেকটা আওয়াজের একেকটা মানে দা
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল আকস্মিকভাবে। যদিও তিনি আমার বাবা ও শ্বশুরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবু তাঁর সঙ্গে ১৯৯৯ সালের আগে কোনো দিন দেখা হয়নি।
এদিন মুক্ত হয় মাদারীপুর শহর। প্রচণ্ড যুদ্ধের পর মুক্তিবাহিনী মাদারীপুর শহর দখল করে নেয়। তখন পাকিস্তানি সৈন্যরা পালাচ্ছিল। ওরা যেন পালাতে না-পারে, সেটা নিশ্চিত করতে মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা রাজৈরের কাছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সমাদ্দার ব্রিজের কাছে সমবেত হন। তিন দিন প্রচণ্ড যুদ্ধের পর হানাদাররা আত্মসমর
ভোভাচ্কা নামে যে ছেলেটির কথা বলা হচ্ছে, তার মূল নাম ভ্লাদিমির। অর্থাৎ, পুরো রুশ দেশে কিংবা সে দেশের বাইরে যত ভ্লাদিমির আছে, তাদের সবাই ছোটবেলায় ভোভাচ্কা নামেই পরিচিত ছিল। তার মানে ভ্লাদিমির ইলিচ বা লেনিন নামে যিনি পরিচিত, তিনিও ছোটবেলায় ছিলেন ভোভাচ্কা, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ বা মায়াকোভ্স্কি নামে যি
রুশ রসিকের দল বিখ্যাত গোয়েন্দাদেরও রসিকতা থেকে ছাড় দেয় না। শুধু গোয়েন্দা নয়, বিভিন্ন ধ্রুপদি বইয়ের ধ্রুপদি চরিত্র নিয়েও ওরা হুল্লোড় করে।
তাতাকে হয়তো আমরা কেউ চিনি না। রাজ্যের উদ্ভট সব গল্প বলে যে মানুষটা আমাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছেন, তাঁর নাম যে তাতা হতে পারে, সে কথা কে আর জানবে? এবং এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে যে তথ্যটি দেওয়া দরকার, তা হলো, তাতা নামটা এসেছে রবীন্দ্রনাথের ‘রাজর্ষি’ নামের উপন্যাস থেকে। উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ১৮৮৭ সালে।